ভূমিকা
আঠারো শতাব্দীর শেষার্ধে ভারতবর্ষের অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে
রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন দেশ তখন স্থবির হয়েছিল ן জ্ঞানের গতি রুদ্ধ ছিল
নিশ্চল আচার ও আনুষ্ঠানিকতা ও মননহীন লোকব্যবহারের পুনরাবৃত্তি
উদ্ধতভাবে দেখা দিয়েছিলো l " এই মৃত স্তুপের ভস্ম ও আবর্জনারাশি
প্রবল প্রাণ শক্তির পবিত্র ধারায় ভাসিয়ে দেবার জন্য আবির্ভূত হলেন
আধুনি যুগের নব ভগীরথ রামমোহন রায় l
তখন ব্যঙলাদেশে অরাজকতা চলছে, ক্ষমতাচ্যুত নবাব শুধুমাত্র নামেই
নবাব l মোগল সম্রাটের কাছ থেকে দেওয়ানির পদ পেয়ে ক্লাইভ বাংলার
গভর্নর হয়ে বসেছেনl বিদেশী ব্যবসায়ী কোম্পানি একটি বিশাল রাজ্যের
শাসক হলোl ইংল্যান্ডের ডিরেক্টরদের অধীন হলেও কার্যত কোম্পানির
ডিরেক্টররাই নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী শাসন ও শোষণ চালাতোl আসলে
ডিরেক্টররা কোম্পানির কর্মচারীদের হাতে সব ছেড়ে দিয়েছিলো,তারা মোটা
মুনাফা পেলেই সন্তুষ্ট থাকতোl এই কর্মচারীরা অসৎ উপায়ে প্রচুর অর্থের
মালিক হতো এবং অসংখ নিরীহ লোককে তাদের অত্যাচারের বলি হতে হতো l
এরা ছিল নিরুপায়l Wish you find best copy breitling watches online.
Cheap and quality, replica watches for sale online with best movements are suited for men and women
সেই সময়ে ইউরোপের অবস্থা কেমন ছিল ? ফ্রান্সে ১৭৮৯
সালে ফার্সি বিপ্লব ঘটেছে সাম্য মৈত্রী স্বাধীনতার বাণী বহন করে হ আমেরিকা
স্বাধীনতা পেয়েছিলো ১৭৭৬ সালে , একটা দৃঢ় মানবতাভিত্তিক সংবিধানের
উপর গঠিত গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিলো। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের ফলে
ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লব ঘটেছে। ইউরোপের সাহিত্যিক, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক ,
শিল্পী, অর্থনীতিবিদ মানবমুক্তির নতুন নতুন পথ দেখাচ্ছেন। মিল, বেনথাম,
হিউম ইংল্যান্ডে, রুশ, ভলতেয়ার দিদের ফ্রান্সে দুর্বার গতিতে মানুষের
উন্নতির সন্ধান দিচ্ছেন। পক্ষান্তরে এশিয়া মহাদেশ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন।
ভারতবর্ষ একটা শতধা বিচ্ছিন্ন জনপদ যেখানে কোনো সুষ্ঠু সামাজিক ও
রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
বর্তমানে শশী থারুরের মত কিছু ব্যক্তি বলার চেষ্টা যে
ইংরেজরা আসার আগে ভারতবর্ষ অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ছিল। এর মধ্যে
কারচুপি আছে। তাঁরা তথ্য দিয়ে বলছেন যে ভারত ধনসম্পদে ইউরোপের
চেয়ে এগিয়ে ছিল। আসলে যা ছিল তা হলো ভারতের প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল
প্রচুর। কিন্তু সেই সম্পদকে কাজে লাগিয়ে যুগোপযোগী পণ্য তৈরী করে তা
থেকে মূলধন তৈরী করার জন্য যে সার্বিক উন্নতির প্রয়োজন ছিল ভারতে
ছিল না। মূলধন না বাড়ালে তা থেকে সম্পদ তৈরী হয় না। আর সম্পদ না
বাড়ালে পৃথিবীতে টিকে থাকা অসম্ভব কারণ ইটা ভারত বুঝেছিলো অনেক
দেরিতে যে প্রসরমান দুনিয়াতে বিচ্ছিন্নভাবে টিকে থাকা যায়না। তুমি যদি
না এগোও তা হলে অন্য অনগ্রসর দেশগুলি তোমাকে আক্রমণ করবে এবং
তোমার সম্পদ লুঠ করবে; এ কথা বুঝতে মার্ক্সবাদ জানার দরকার হয় না।
সাধারণ মানবচরিত্র জানলেই হয়। আর আত্মতুষ্ট ভারত নিজের খোলসের
মধ্যে গুটিয়ে থেকেছিল। সেই সুযোগে অন্য অগ্রসর ইউরোপীয় দেশগুলি
ভারতের সম্পদ লুঠ করতে ( শুধু ভারত নোই, সারা পৃথিবীব্যাপী ইটা
ঘটেছিলো, সেই বিস্তারিত আলোচনায় আমরা যাব না ) এসেছিলো।তারা
কোনো ভুল করেনি। ভুল হয়েছিল আমাদের। আমরা দেরিতে জেগেছি
( এখনো কি পুরো জেগেছি?)
কিন্তু ইউরোপের মুক্তির হাওয়া ইউরোপীয় বণিক ও ঔপনিবেশিকদের
সঙ্গে এদেশে এসেছিলো।কারণ যাই হোক যে সমস্ত ইউরোপিয়রা এসেছিলো
তাদের মধ্যে অনেক মানবহিতৈষী ছিলেন, সব থেকে বড় কথা একটা উন্নত
সভ্যতার অভিঘাত এদেশের তটভূমিতে আছড়ে পড়েছিল।ঐ ইউরোপীয়দের
সঙ্গে আমরা পরিচিত হলাম। অর্থাৎ তাদের উদ্দেশ্য যেমনি থাক তারা তো
তাদের অভ্যস্ত জীবন প্রণালী থেকে হঠাৎ করে অন্যরকম হতে পারে না।
আমাদের জীবনাচরণ পদ্ধতির সঙ্গে ওদের অনেক তফাৎ ছিল। এটা পুরোপুরি
ধর্ম আশ্লিষ্ট নোই আবার ধর্মবিচ্যুতও না। একটা জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন পদ্ধতি
অনেক কিছুর সমষ্টি ; তাই ওই দেশসমূহ নেই নেই করে তাদের ভালো সংস্কৃতির
একটা সারাংশ বয়ে এনেছিল। সেই আলোকধারায় স্নাত হয়ে আমরা অনেক
কিছু শিখলাম।এতদিন এখানকার মানুষ শুধু ভয় পেয়েছে, মাথা নত করেছে
আর সহ্য করেছে। এখন সে শুরু করলো তর্ক করতে, প্রতিবাদ জানাতে,
আঘাত হানতে।এতকাল ধরে ছিল দৈব,শাস্ত্র; এসবের শাসনে মানুষ জড়সড়
ছিল।কিন্তু ঐ নূতনকে গ্রহণ করতে যে দ্বিধা , খুব স্বাভাবিক, তা কাটিয়ে
ওঠার জন্য একজন দিশারীর প্রয়োজন ছিল আর ঠিক এখানেই রামমোহনের
অনবদ্য ভূমিকা। সেই দিশারীর কাজটা করেছিলেন রামমোহন। বিজ্ঞান
বস্তু জগতের সত্যকেই বড়ো করে তুলে ধরলো এবং সেই বৈশ্লেষিক চিন্তার
অনুপান হিসাবে এলো মানবিকতা। Buy rolex copy watches sales with high quality on sale.
Buy hot-selling top quality cartier replica watches from online store. Fast shipping. Money back guaranty.
গ্রন্থের নাম : আধুনিক ভারতের রূপকার রাজা রামমোহন
গ্রন্থকারের নাম : সুদীপ নারায়ণ ঘোষ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০৪
দাম: ৮০ টাকা
প্রাপ্তিস্থান:বিবেকানন্দ সাহিত্য কেন্দ্র
৬, বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০৭৩